পিতাকে না পেয়ে ৯ম শ্রেণি পড়–য়া শিশু পুত্রকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, কাজী মনিরুজ্জামান, সাবেক ওসি এনামুলহকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়ন বড়ালের আমলী ১নং আদালতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি এফআইআর হিসেবে গন্য করার জন্য সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক ডিবি প্রধান আ: হান্নান, এস আই আব্দুল মালেক, এস আই আব্দুল কালাম, ভোমরা গ্রামের মৃত সোনা গাজীর পুত্র ওহিদুল ইসলাম, ভোমরা দাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র আশরাফুল ইসলাম, হাড়দ্দহা গ্রামের বাদল গাজীর পুত্র শহীদুল ইসলাম গাজী, মৃত মোহাম্মাদ গাজীর পুত্র আব্দুল গণি, পদ্ম শাখরা গ্রামের মৃত আ: রহিম গাজীর পুত্র মফিজুল ইসলাম, খানপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র ইব্রাহিম খলিল, চৌবাড়িয়া গ্রামের মফিজুদ্দীন সরদারের পুত্র আব্দুস সাত্তার সরদার, আব্দুল গণির পুত্র মোশারফ হোসেন, পদ্মশাখরা গ্রামের মৃত এনাম বক্সগাজীর পুত্র রেজাউল ইসলাম, ভোমরা গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর পুত্র আনারুল ইসলাম গাজী, লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত কাদের মোল্লার পুত্র জালাল উদ্দিন, হাড়দ্দহা গ্রামের আব্দুস সামাদ সরদারের পুত্র খলিলুর রহমান, আ: রাজ্জাকের পুত্র তরিকুল ইসলাম, মৃত নেছার উদ্দিনের পুত্র এমাদুল ইসলাম, মৃত রহিম বক্সেও পুত্র শহীদুল ইসলাম,ভোমরা গ্রামের আবু শেখের পুত্র মফিজুল ইসলাম, সায়েদ ফকিরের পুত্র আবু বাক্কার ফকির, আনছার আলীর পুত্র ইসমাঈল হোসেন, হারু কাপালীর পুত্র সুবাস ডাক্তার, লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত কাদের মোল্লার পুত্র জালাল মোল্ল্যা, বিজয় কৃষ্ণ ঘোষের হারান চন্দ্র হারু ঘোষ, রমজান গাজীর পুত্র আব্দুল গফুর গাজী।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ইন্ধনে এসপি মঞ্জুরুল কবির, সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামান এবং ওসি এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা বাদী শহর আলীর বাড়িতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জীবনের ভয়ে তিনিসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবেশির বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে। বাড়িতে কাউকেনা পেয়ে বাড়িতে থাকা শিশুপুত্র আবু হানিফ ছোটনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ভোমরা স্থলবন্দরের লাভলু স্কেল সামনে ফাঁকা স্থানে ছোটনের শরীওে তিনটি গুলি করে হত্যা করে। সে সময় মামলার করার সুযোগ না পেয়ে আজ মামলা দাখিল করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাদী শহর আলী।