সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুকুর থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার মাছ লুটের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব কালিনগর গ্রামের সাধন মন্ডলের স্ত্রী করুনা রানী মন্ডল (৫৪)। ৩১শে জুলাই বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন।
করুনা রানী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, জে,এল ৮১ নং মুন্সীগঞ্জ মৌজায় এস.এ ৩৬৩ নং খতিয়ানে ৩০৩২, ৩০৪০, ৩০৪১, ৩০৩৭, ৩০৩৯ নং দাগে ২.০৬ একর আমার স্বামী সাধন মন্ডল পৈত্রিক উত্তরাধিকারী ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হওয়ায় সেখানে পুকুরে মৎস্য চাষাবাদ এবং বসত ভিটায় পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছি। উক্ত বসত বাড়ি সংলগ্ম মিষ্টি পানির পুকুর স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশী রান্না ও খাওয়ার কাজে ব্যবহৃত করে থাকে। তাছাড়া পুকুরের উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে ঐ পুকুরটি সংরক্ষণ করা হয়। আমার পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী
অজিত মন্ডল এর ছেলে অসিম মন্ডল সহ আরো ৫ জন ব্যক্তি ঐ সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করলে আমার স্বামী সাধন চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরা বরাবর ফৌ:কা: বি: ১৪৫ ধারা মতে পিটিশন— ১৫০১/২৪ (শ্যাম:) নং মামলা রুজু করে। উক্ত মামলাটি শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর এবং জমির দখল বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন মর্মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা প্রদান করে। বিজ্ঞ আদালতে মামলার বিষয়ে আমার প্রতিপক্ষ অসিম মন্ডল অবগত হয়ে শ্যামনগর থানার শান্তিশৃঙ্খলা নোটিশ হাতে না পাওয়ার আগেই ৩১শে জুলাই আনুমানিক রাত ৩ টার সময় অসিম মন্ডলের নেতৃত্বে প্রশান্ত মন্ডল, অসীম মন্ডল, রাম প্রসাদ মন্ডল, তাপস মন্ডল, আব্দুল আজিজ সরদার, কাজল কান্তি সরদার, প্রকাশ মন্ডল, বিশ্বজিৎ মন্ডল, বিধান সরদার সহ অজ্ঞাত নামা ভাড়াটিয়া আরো ১০/১২ জন বেড় জাল ও খেপলা জাল সহ মাছ ধরার সরঞ্জামাদি নিয়ে আমার স্বামীর প্রসেসিংকৃত পুকুরে প্রবেশ করে প্রায় আনু: পাঁচ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে নিয়েছে।
ঐ রাত্রে আমি সহ আমার স্বামী সাধন চন্দ্র মন্ডল, আমার ভাইজিদ্বয় তিপ্তী মন্ডল, অর্পিতা মন্ডল, আমার মেয়ে রীতা মন্ডল তাদের অবৈধ মাছ ধরা কাজে বাধা দেওয়ায় তারা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ সম্মানহানীকর কথাবার্তা বলে প্রাণ নাশের ভয় ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করে। এসময় তাদের মধ্যে কতক ব্যক্তি দেশ ছাড়া করার হুমকিও দেয়। আমি সহ আমার পরিবার তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। স্থানীয় ভাবে কোন বিচার না পাওয়ায়, ঊর্ধতন কতৃর্পক্ষ ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে সমাজে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।