অনলাইন ডেস্কঃ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী বাজারের পাশে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে “রাসেল’স ভাইপার” নামের ওই সাপের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলে স্থানীয়রা।
কলারোয়ার হিজলদী গ্রামটি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা।
ওই গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মাঠে যান। ধানক্ষেতের পাশে সাপটি তিনি দেখতে পান। সেসময় তিনি আতঙ্কগ্রস্থ হলেও আশপাশের লোকজনের সহায়তায় সাপের গতিবিধি লক্ষ্য করে কিছু দূর গিয়ে কৌশলে সাপটি মেরে ফেলতে সক্ষম হন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারতের সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। কিছুদিন আগেও একই এলাকায় একজোড়া সাপের দেখা যায়। তবে মারা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে কয়েক মাস আগে পার্শ্ববর্তী সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে একটি রাসেল’স ভাইপার সাপ পিটিয়ে মারে কৃষকরা। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী একই এলাকায় আরো দুটি রাসেল’স ভাইপার সাপ দেখা যায়। পরে এলাকাবাসী তা মেরে ফেলে।
ওই দুই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে রাসেল’স ভাইপার নামের এই বিষাক্ত সাপ বিশেষ করে ধানক্ষেতে আশ্রয় নেয়। কারণ এই দুই এলাকায় ছাড়াও আশপাশে যেখানে এই সাপের সন্ধান মিলেছে তার বেশিরভাগ পাওয়া গেছে ধান ক্ষেতে।’
জানা গেছে, অন্যতম বিষাক্ত ও ভয়ংকর সাপ হলো রাসেল ভারপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। এর লেজ খুব লম্বা হয় না। সাপটিও বেশি লম্বা না। তবে বেশ মোটা। সাপের মাথা খুব বড়। গায়ে কিছুটা ছপছপ ডোরাকাটা কালো দাগ। গালের ভিতরে উপরের দুটি দাঁত আর নিচের দুটো দাঁত বেশ বড়, কোঁকড়ানো এবং শক্ত। এদের প্রধান খাদ্য ইঁদুর। সাতক্ষীরা জেলায় একের পর এক রাসেল ভাইপার সব দেখা মেলায় সর্বত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।